শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব কোরবানির ঈদ আগামী ২২ আগস্ট। ঈদ-উল-ফিতরে কেনাকাটা ও মিষ্টি সেমাই নিয়ে যেমন তোড়জোড় থাকে তেমনি কোরবানি ঈদে থাকে পশু কেনাকাটা ও দা-ছুরি কেনাকাটার ঝোঁক। তাই বাড়তি দা-ছুরির চাহিদা মেটাতে ব্যস্ততা বেড়েছে রাজধানীর কামারপাড়ায়। সারাক্ষণ টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারপাড়া। যেন দম ফেলার সময় নেই কামারদের। রাজধানীর শাহজাহানপুর বাজারে কামারপাড়া ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
দা-ছুরি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি পিস চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, চামড়া খোলার ছুড়ি ৩০ থেকে ১৫০ টাকা, জবাই করার ছুরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাইনিজ কুড়াল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ছুরি ধার করার স্টিল প্রতি ৩০ টাকা, দা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, বটি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
দা-ছুরি বিক্রেতা সানোয়ার হোসেন বলেন, কোরবানি ঈদ এলেই ব্যস্ততা একটু বেশি থাকে। তবে এখনও ঈদের বাকি আরও কয়েকদিন তাই ক্রেতার চাপ কম। সবাই গরু কেনাকাটায় ব্যস্ত। তবে আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে নিচ্ছি। আশা করি কাল-পড়শু থেকে বেচাকেনা বাড়বে।
আব্দুর রহিম নামের এক ক্রেতা একটি চাপাতি ও জবাই করার ছুরি কিনেছেন। তিনি বলেন, ঈদের বাকি আরও কয়েকদিন। কিন্তু পরে যেন বাড়তি ঝামেলা পোহাতে না হয় তাই কিনে ফেললাম।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে ছুরি ও চাপাতি মূলত মৌসুমি কসাইরাই বেশি কিনে থাকেন। অনেকে শখের বশে কেনেন। কারণ রাজধানীর কোরবানির পশুর কাটাকাটি মূলত কসাইরাই করে থাকে। তবে যিনি কোরবানি দেন তিনিও তাদের সহায়তা করেন।
এদিকে শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাট জুড়ে ঈদ আমেজ। নানা রঙে সাজানো হয়েছে হাটের ব্যানার ও গেট। ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন হাটের ইজারাদাররা।
রাজধানীতে এ বছর মোট ২৩টি পশুর হাট বসেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩টি হাট বসেছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়ও নিজ উদ্যোগে অনেককে গরু বিক্রি করতে দেখা যায়।
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ আগামী ২২ আগস্ট বুধবার পবিত্র ঈদ-উল-আজহা তথা কোরবানি ঈদ উদযাপিত হবে। গত রোববার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ঈদকে কেন্দ্র করে অনেকে ইতোমধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে। যারা ঈদের অগ্রিম বাসের টিকিট কিনেছিলেন তারা বৃহস্পতিবার যাতায়াত করা শুরু করেছেন। আর যারা ট্রেনের টিকিট কিনেছেন তারা আজ শুক্রবার থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।
Leave a Reply